শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ নিয়ে অসন্তোষ সংসদীয় কমিটির

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2017, 12:46 PM
Updated : 3 Jan 2018, 02:46 PM

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, “অসন্তোষ এ জন্য যে, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে বেশ ‍কিছু আইনি জটিলতা আছে, সেগুলোর সুরাহা করার জন্য বলা হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রাইভেট হেলিকপ্টারের যে হ্যাঙ্গার রয়েছে সেটা সরিয়ে নতুন করে করতে হবে। এই কাজটিও এখনও শুরু হয়নি।“

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, দ্বিতীয় রানওয়ে এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন ও খসড়া মাস্টার প্ল্যান’ উপস্থাপন করা হয়।

ওই মহাপরিকল্পনায় বলা হয়, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ওই বছর প্রথম পাঁচ মাসেই ৬৭ লাখ যাত্রী এ বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন। দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা প্রতি বছর ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তে থাকায় ২০১৯ সালে নতুন টার্মিনালের প্রয়োজন হবে।

ওই পরিকল্পনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু জাইকা, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এবং কুয়েত ফান্ড কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্পে অর্থায়নে রাজি না হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।

পরে জাইকা এ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে রাজি হয়। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পায়। ২০২২ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্প ব্যায় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

২০১৫ সালে ‘চায়না এয়ারপোর্ট কনস্ট্রাকশন গ্রুপ করপোরেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছায়, যার মধ্যে শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ এবং আধুনিকায়নের বিষয়টিও ছিল।

সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, সিভিল এভিয়েশনের বেশিরভাগ প্রকল্প শেষ হতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে- এজন্য কমিটি তাদেরকে সতর্ক করেছে।

ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মো. আলী আশরাফ, কামরুল আশরাফ খান, তানভীর ইমাম, রওশন আরা মান্নান ও সাবিহা নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।