শুক্রবার বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অষ্টম তলায় এর উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
মঙ্গলবার বাতিঘরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুটের জায়গায় ‘সুপরিসর, আধুনিক ও মানসম্পন্ন’ বইয়ের সুপার স্টোর গড়ে তোলা হয়েছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে এ যৌথ উদ্যোগে থাকছে সংরক্ষিত প্রকাশক কর্নার, শিশু-কিশোর কর্নার, লিটল ম্যাগাজিন ও সাহিত্য সাময়িকী কর্নার এবং ক্যাফে।
অভ্যন্তরীণ সজ্জায় মুঘল স্থাপত্য বিশেষত লালবাগ কেল্লার আদলে নির্মিত ঢাকা বাতিঘরে থাকছে প্রায় শতাধিক বিষয়ের ১০ হাজার লেখক ও এক হাজার দেশি-বিদেশি প্রকাশনা সংস্থার লক্ষাধিক বইয়ের বিষয়ভিত্তিক বৈচিত্রপূর্ণ সংগ্রহ।
২০০৫ সালের জুনে চট্টগ্রামের চেরাগি পাহাড় মোড়ে ১০০ বর্গফুটের ছোট পরিসরে চালু হওয়া বইবিপণি বাতিঘর ২০১২ সালে তিন হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে স্থানান্তরিত হয় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবনে।
সেখানে পুরোনো জাহাজের আদলে গড়ে তোলা পরিসরে চমৎকার সজ্জা ও মনোরম পরিবেশের জন্য বাতিঘর প্রশংসিত হয় বইপ্রেমীদের কাছে।
২০০৯ সালে প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের অমর একুশে বইমেলায় নান্দনিক সাজসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ পায়।
ঢাকা বাতিঘর উদ্বোধন ও এর বিশেষত্ব তুলে ধরতে বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন রয়েছে।
এতে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।