প্রাথমিক সরকারি শিক্ষক মহাজোটের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া দশ জন শিক্ষক রোববার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই অনশন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণেই আছেন তারা। শিক্ষক মহাজোটের নেতারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অনশন চলবে।
জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ নামে তিনটি সংগঠনসহ সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ প্রাথমিক সরকারি শিক্ষক মহাজোট ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করে শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা এক হওয়ার পরও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের ‘বেতনে বৈষম্য’ রয়েছে। ১৯৭৩ সালে থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এটা ছিল না।
“এরপর থেকে ১৯৮৫ সালে এক ধাপ, ২০০৬ সালে দুই ধাপ এবং ২০১৪ সালে থেকে তিন ধাপের পার্থক্য তৈরি করা হয়েছে। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন একাদশ গ্রেডে। আর আমাদের দেওয়া হচ্ছে চতুর্দশ গ্রেড।”
“অর্থ্যাৎ ১৬ বছর চাকরি করার পর সহকারী শিক্ষকরা পাবে দ্বাদশ গ্রেডে ১১ হাজার ৩০০ টাকা, এটা অমানিবক।”
আনিসুর বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপ, অর্থাৎ দ্বাদশ গ্রেডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবিতে এই আমরণ অনশন কমর্সূচি তারা চালিয়ে যাবেন।