আস্থা বাড়াবে রংপুরের ভোট: ইডব্লিউজি

নির্বাচন কমিশনের মত ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) পরিচালক আব্দুল আলীমও মনে করেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ‘উৎসবমুখর’ পরিবেশ ভবিষ্যতের জন্য ‘মডেল’ হয়ে থাকবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2017, 03:22 PM
Updated : 21 Dec 2017, 03:22 PM

কোনো ধরনের গোলযোগ-সহিংসতা না হওয়ায়, কারচুপি বা অনিয়মের অভিযোগ না ওঠায় এ ভোটের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি অংশীজনের আস্থা বাড়াবে বলেও তার বিশ্বাস।

বৃহস্পতিবার রংপুর সিটি করপোরেশনের এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপির প্রার্থীসহ মেয়র পদে মোট ৭ জন প্রার্থী অংশ নেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মোর্চা ইডব্লিউজির পরিচালক আব্দুল আলীম বলেন, “কোনো সংহিসতা নেই, অনিয়ম নেই, কারচুপি নেই। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয় যে চিত্র দেখেছি তা ছিল না। এক কথায় বলা যায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।”

বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে দলটি অভিযোগ করলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ওই অভিযোগ ‘সঠিক নয়’ বলেই তিনি মনে করছেন।

আর নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, “রংপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে; একটি মডেল নির্বাচন হয়েছে।”

আলীমও একই সুরে বলেছেন, “রংপুরের নির্বাচন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি সব ধরনের অংশীজনের আস্থা বাড়াবে। রংপুরে একটি সমন্বিত নির্বাচন হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করা দরকার, তাতে সবার সহযোগিতা ছিল। এটাকে মডেল নির্বাচনও বলা যায়। এ রকম নির্বাচনই মানুষ প্রত্যাশা করে।”

তবে রংপুরে নির্বাচনের ফল দেখে আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আগাম কোনো বিশ্লেষণ করাও ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

“স্থানীয় নির্বাচনে স্থানীয় ভোটারদের একটি ফ্যাক্টর কাজ করে, স্থানীয় বিশেষ লোকের, নিজ এলাকার ভোটারদের একটি সম্পর্ক রয়েছে। এটা নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আবহে অ্যানালাইসি করা যায় না।”

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ভোটের পর নিজেদের মেয়াদের এক বছরের মাথায় রংপুরে শান্তিপূর্ণ এই ভোটকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ বলেই মনে করছে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি। এই কমিশনের অধীনেই আগামী বছরের শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

সংসদের আগে জুনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ নির্বাচন, উত্তর-দক্ষিণে ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনেরও ভোট করতে হবে এ ইসিকে।