রংপুরে নতুন ইভিএম সফল: সিইসি

নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে তৈরি নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) কোনো ধরনের বিচ্যুতি না পাওয়ায় রংপুর সিটি ভোটে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2017, 12:20 PM
Updated : 21 Dec 2017, 12:20 PM

এ সফলতার ধারাবাহিকতায় সিইসি আগামীতেও স্থানীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার অব্যাহত রাখার কথা বললেও সংসদ নির্বাচনে তা রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রংপুর নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪১ নম্বর কেন্দ্র সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্রের ছয়টি বুথে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়।

বিকালে নির্বাচন ভবনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, “একটি কেন্দ্রে সতর্কতার সঙ্গে (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। শেষ পর‌্যন্ত ভোটাররা উৎসাহ নিয়েই ভোট দিয়েছে। ভোটাররা অভিভূত। সবার সঙ্গে কথা বলেছি, ইভিএমে কোনো বিচ্যুতি, কোনো ত্রুটি হয়নি। নতুন ইভিএম সফল।

“স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম কোনো কোনো কেন্দ্রে ব্যবহার করব। তবে জাতীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার সম্ভব হবে না। হয়ত আগামীর জন্য আমরা প্রস্তুতি রেখে যাব।”

সামান্য বিলম্ব, তবে ত্রুটি নয়

১৪১ নম্বর কেন্দ্রে কিছু ভোটারকে বেলা ১২ টার পরে আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এজন্য টোকেন পেতে বিলম্ব ও যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার আজহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ কেন্দ্রে একটি ভোটকক্ষে কয়েকজন ভোটারের ১০-১৫ মিনিট বিলম্ব হয়েছে ভোট দিতে। তবে যন্ত্রে কোনো ত্রুটি নয়, ব্যবস্থাপনার কারণে বিলম্ব হয়েছে।”

সবকিছু ঠিক মতো চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভোটার শনাক্ত ও টোকেন দিতে সময় লাগে কিছুক্ষণ। তবে লাইন থেকে কাজটি শেষ করার পর ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া দেড়-দুই মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কোনোভাবে জালভোট দেওয়ার সুযোগ নেই, সময়সাপেক্ষ হলেও এটি ভালোভাবে হচ্ছে। যার ভোট সে দিচ্ছে।”

নতুন প্রযুক্তি হওয়ায় এর সঙ্গে পরিচিত হতে ও কাজ সামলাতে একটু সময়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।

বেলা ২টা পর্যন্ত বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্রে ৫০ শথাংশ ভোট পড়ে বলে জানান প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।

যেভাবে ভোট ইভিএমে, ভুল হলেও সুযোগ দুইবার

আঙ্গুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটার শনাক্ত করা হয়।

নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন করে ভোটার ভেরিফিকেশন করেন পোলিং অফিসার।

ডেটাবেজে ভোটার বৈধ হিসেবে শনাক্ত হলেই ভেরিফিকেশনের সঙ্গে যুক্ত প্রজেক্টের মাধ্যমে তা পোলিং এজেন্টের কাছে দৃশ্যমান হবে।

মেশিনটিতে কুইক রেসপন্স কোড QR CODE সহ আরও কিছু তথ্য সম্বলিত টোকেন মুদ্রণ করে ভোটারকে দেওয়া হয়।

ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে এলে ভোটিং মেশিনের QR CODE স্ক্যানারের মাধ্যমে শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা তিনটি পদের জন্য ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে।

ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাম দিকে বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন এবং ওই ব্যালট ইউনিটের সবুজ রংয়ের CONFIRM বোতাম চেপে তার ভোট শেষ করবেন।

কখনো ভুলবশত কোনো প্রতীক সিলেক্ট করা হলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রংয়ের CANCEL বোতাম চেপে পরবর্তীতে যে কোনো প্রার্থীকে আবার সিলেক্ট করা যাবে।

এভাবে দুই বার CANCEL করা যাবে, তৃতীয়বার যেটি সিলেক্ট করা হবে সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গৃহীত হবে।