বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকীতে শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে ‘মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি, বিজয় ও বিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
আনিসুজ্জামান বলেন, “১৯৭১ সালে আজকের এই দিনে আমরা যে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম সেটি কেবল মাটি ও পতাকার বিজয় নয়, আদর্শিক বিজয়ও। আমরা মৌলবাদ, জঙ্গিবাদসহ আজ যে সব বিকারের কথা বলছি তা মোচন করা সম্ভব হবে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যকে সামনে তুলে ধরে অগ্রসর হতে পারলে। তবেই শহীদদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে।”
অধ্যাপক হারুন- অর- রশিদ তার প্রবন্ধে বলেন, “১৯৪৭ থেকে ৭১ বা পাকিস্তানি আমলটি ছিল বাঙালি জাতির আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়। এ পর্বের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার স্বাধীনতার ঘোষণাটি কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। এর পেছনে ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির হাজার বছরের আকাঙ্ক্ষা, আন্দোলন সংগ্রাম ও স্বপ্ন। আজকের এই স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর জীবন-স্বপ্ন ও সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও সমাজকর্মী খুশি কবির উপস্থিত ছিলেন।