হাজারো কণ্ঠে সোনার বাংলা

হাজারোও কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে বিজয় দিবস উদযাপিত হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে।

তারেক হাসান নির্ঝরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2017, 05:55 PM
Updated : 16 Dec 2017, 07:53 PM

মাঠের মাঝ বরাবর বিশাল সবুজ গালিচা। তার ঠিক মাঝখানে লাল সূর্যের আদলে তৈরি মঞ্চ। সবুজ গালিচায় বসে পড়লেন সবুজ রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি পরা হাজার দুয়েক নর-নারী আর স্কুলশিক্ষার্থী। আর মঞ্চে লাল শাড়ি, লাল পাঞ্জাবিতে আরেকদল। দুপাশে লাল-সবুজ রঙে ছেয়ে যাওয়া গ্যালারি ভর্তি আরও হাজার তিনেক মানুষ। সবাই মিলে সমস্বরে গাইলেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।

বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকীতে শনিবার এই আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। বিকাল পৌনে ৪টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাঠ ও গ্যালারির পাঁচ হাজার দর্শক সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত গান। এরপর দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ধনধান্য পুষ্পভরা গানের সাথে সমবেত নৃত্যগীত পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা।

নৃত্যশৈলীর পাশাপাশি একে একে তারা পরিবেশন করেন কাজী নজরুল ইসলামের ‘ও ভাই খাটি সোনার চেয়ে খাটি’ ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’,  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে’ ‘সংকোচের বিহ্বলতা’, শাহ আব্দুল করিমের ‘গ্রামের নওজোয়ান’, গিরিন চক্রবর্তীর ‘নাও ছাড়িয়া দে’, মোহিনী চৌধুরীর ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’ এবং আব্দুল লতিফের ‘লাখো লাখো শহীদের রক্তমাখা’ গানগুলো।

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ‘বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে’ কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান সৈয়দ হাসান ইমাম।

রবীন্দ্রনাথের ‘একবার তোরা মা বলে ডাক’ গানটি গেয়ে শোনান লাইসা আহমেদ লিসা।  ফারহানা আক্তার শ্যার্লি ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী দ্বৈতভাবে পরিবেশন করেন জয়দেব সেনের ‘এই বাংলার মাটিতে’ গানটি।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুপুর থেকেই বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা মেট্রোপলিটন, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হলিক্রস স্কুল ও কলেজ, উদ্দীপন ও নালন্দা বিদ্যালয়, একাডেমিয়া, এক্সেল একাডেমি, ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস, সাউথ ব্রিজ, সানবীমস ও স্কলাস্টিকা স্কুলের শিক্ষার্থীরা দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আসা শুরু করে। সবার পরনেই ইউনিফর্মের উপর ছিল জাতীয় পতাকার রঙের সবুজ অংশের প্রতীক হিসেবে সবুজ কাপড়। আর মঞ্চে যারা ছিলেন তাদের সবার পরনে ছিল লাল রঙের শাড়ি ও ধুতি-পাঞ্জাবি।

শেষ বিকালে আরও একবার জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।