রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখাতে নয়া দিল্লি থেকে আনা হয়েছে কূটনীতিকদের

মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগের কথা শোনাতে নয়া দিল্লি থেকে বিভিন্ন দেশের ১৫ জন কূটনীতিককে নিয়ে এসেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2017, 04:45 PM
Updated : 17 Dec 2017, 01:51 PM

বাংলাদেশে দূতাবাস না থাকা দেশগুলোর এসব কূটনীতিকরা শনিবার ঢাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এই কূটনীতিকদের মধ্যে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গ্রিস, মরিশাস, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেইন ও কেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনার রয়েছেন।

এছাড়া নাইজেরিয়ার হাই কমিশনারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া ও ঘানার শার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স রয়েছেন কূটনীতিকদের এই দলে।

মিয়ানমারের সহিংসতার মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে ১৩ সেপ্টেম্বর কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে যান ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে আমরা অনাবাসিক কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ করি। তবে এবার তাদের আমরা কক্সবাজার পরিদর্শনেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”

মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশলের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার এক পর্যায়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশন প্রধানদের কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির ঘুরিয়ে দেখায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এবার নিধনযজ্ঞের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিলিয়ে এই জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখ মানুষকে এখন আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ।

এই সংকটের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গা নিপীড়নের অবসানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের পুনর্বাসনের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সম্মতিপত্র সই হলেও এখনও দেশটির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।

সফর সূচি অনুযায়ী রোববার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন অনাবাসিক কূটনীতিরা। সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যায় তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমবার নয়া দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার কথা এই কূটনীতিকদের।