বাংলাদেশে দূতাবাস না থাকা দেশগুলোর এসব কূটনীতিকরা শনিবার ঢাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এই কূটনীতিকদের মধ্যে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গ্রিস, মরিশাস, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেইন ও কেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনার রয়েছেন।
এছাড়া নাইজেরিয়ার হাই কমিশনারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া ও ঘানার শার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স রয়েছেন কূটনীতিকদের এই দলে।
মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশলের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার এক পর্যায়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশন প্রধানদের কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির ঘুরিয়ে দেখায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এবার নিধনযজ্ঞের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিলিয়ে এই জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখ মানুষকে এখন আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের অবসানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের পুনর্বাসনের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সম্মতিপত্র সই হলেও এখনও দেশটির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
সফর সূচি অনুযায়ী রোববার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন অনাবাসিক কূটনীতিরা। সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যায় তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার নয়া দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার কথা এই কূটনীতিকদের।