বিজয় দিবসে হাজার কণ্ঠ গাইবে দেশের গান

বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকীতে হাজারো কণ্ঠ একসঙ্গে গেয়ে উঠবে বাংলাদেশের গান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2017, 06:15 PM
Updated : 15 Dec 2017, 06:15 PM

শনিবার বিকাল পৌনে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই আয়োজন করছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। প্রজন্মকে ‘দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করতে’ সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শুক্রবার সকালে ছায়ানটে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সাজবে জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজে, সবাই গেয়ে উঠবে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’

লাল শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরে আসবেন শিল্পীরা। দর্শকদের অনুরোধ করা হয়েছে সবুজ শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরতে, যাতে লাল সবুজের পতাকার আদল আনা যায়।

দেশাত্মবোধক গানের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, “গত কয়েক বছরে আমরা সাম্প্রদায়িকতার নৃশংস রূপ দেখছি, জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটছে। এদের প্রতিরোধে সংস্কৃতি চর্চাকেই প্রধান অস্ত্র হিসেবে ধরে এগোতে চাইছে ছায়ানট। আর তার সঙ্গে তরুণদের যুক্ত করা প্রয়োজন।”

এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নৃত্যসহ নয়টি সম্মেলক গান, একটি করে একক গান ও আবৃত্তি এবং একটি দ্বৈত গান নিয়ে। নৃত্য পরিচালনা করছেন শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়, বেলায়েত হোসেন, সোনিয়া রশীদ, ফারহানা আহমেদ ও শ্রাবণী মজুমদার।

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা ‘বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে’ আবৃত্তি করবেন সৈয়দ হাসান ইমাম, একক গান পরিবেশন করবেন লাইসা আহমদ লিসা এবং দ্বৈত গান পরিবেশন করবেন ফারহানা আখতার শ্যার্লি ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী।

দেশের গানগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানের ভাণ্ডার থেকে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশ-মানুষ-সমাজ নিয়ে আব্দুল লতিফ, গিরিন চক্রবর্তী, জয়দেব সেন, মোহিনী চৌধুরী ও শাহ আব্দুল করিমের সুর-বাণী।

১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ ও বাঙালির পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের ক্ষণকে স্মরণ করে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সমাপ্তি টানা হবে আয়োজনের।

ছায়ানটের শিল্পীদের সঙ্গে এ আয়োজনে যোগ দেবে বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা মেট্রোপলিটন, আটি ভাওয়াল উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, হলিক্রস স্কুল ও কলেজ, উদ্দীপন ও নালন্দা বিদ্যালয়, একাডেমিয়া, এক্সেল একাডেমি, ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল, সাউথ ব্রীজ, সানবীমস ও স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থীরা।