নতুন এই কমিটি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস দেশের মানুষের সামনে হাজির করার পাশাপাশি অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে মাঠে থাকবে বলে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পর করা নতুন এই কমিটির নাম ঘোষণা করা না হলেও এতে মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমানকে আহ্বায়ক ও আবদুল গনিকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে শুক্রবার ‘বিশেষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী’ ৪৭তম বিজয় দিবস উদযাপন ও করণীয় বিষয়ে এক আলোচনা সভায় এ কমিটি ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম জাহাঙ্গীর বলেন, শিগগিরই কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে।
কমিটিতে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনী ডেপুটি কমান্ডার পঙ্কজ ভট্টচার্য, সিপিবির উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান, ফৌজিয়া মোসলেম ও সুব্রত চৌধুরীকে উপদেষ্টা এবং আনোয়ার হোসেন ও আ ক ম জাহাঙ্গীরকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।
সরকারের তালিকায় প্রকৃত সব মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় নিজেদের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তা সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য।
“প্রকৃত তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। যদি দুই-চারজন ভুল থেকে থাকে তা আমরাই বাদ দিব, সরকার বা মন্ত্রী সাহেবের চিন্তা করতে হবে না। সেই রকম সংগঠন গতে তোলতে হবে।”
ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তি সংগ্রামে অংশ নেয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্রসমর্পণ করে ওই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা।
ওই বাহিনীর দুই হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়ে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরের প্রজ্ঞাপনে ত্রুটি দেখিয়ে তা বাতিল করা হয়।
প্রজ্ঞাপনের বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য আদালতে যান। আইনি লড়াই শেষে সর্বোচ্চ আদালত তাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বহাল রাখে।