নগর ও স্থানীয় সরকারগুলোর একটি বৈশ্বিক জোটের সঙ্গে মিলে সর্ববৃহৎ এই ঋণদাতা সংস্থাটি মোট ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের পাশাপাশি কারিগরি সহায়তা দেবে বলে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন জানিয়েছে।
বেসরকারি খাত থেকে আরও পুঁজি সংগ্রহ এবং বিরূপ আবহাওয়া ও সাগরপৃষ্ঠের বাড়ন্ত উচ্চতার খড়্গ থেকে ১৫০টি উন্নয়নশীল শহরের জীবন ও অবকাঠামো সুরক্ষা দিতে তিন বছরের একটি কর্মসূচির আওতায় এই সহায়তা দেওয়া হবে।
এই কর্মসূচিতে প্রথমেই যে শহরগুলো থাকছে তার মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। ব্রাজিলের মানাউস, ঘানার আক্রা ও তুরস্কের ইস্তাম্বুলও রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের শীর্ষ দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মার্ক ফর্নি বলেন, শহরের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়লে যে কেবল ক্ষয়ক্ষতিই এড়ানো যায় তা নয়, এটা প্রবৃদ্ধি সহায়ক।
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার বাসস্থান শহরাঞ্চলে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেকগুলো শহর বন্যা, ঝড় ও তাপপ্রবাহের মতো হুমকি থেকে নগরবাসী ও সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি আবাসনের উন্নয়ন ও অসমতা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ফর্নি বলেন, “আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, তা হলো এখানে বিনিয়োগের চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতি আছে।”
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সদ্যসমাপ্ত ‘ওয়ান প্লানেট সামিটে’ এই অংশীদারিত্ব কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়। এর আওতায় ভূমির উন্নয়ন এবং ঋণের সদ্ব্যবহারের উপায় খোঁজার কথাও বলা হয়েছে।
পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে মাঠ পর্যায়ে পদক্ষেপের জন্য তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে গতবছর প্রায় ১২০টি দেশের সাত হাজার চারশোর বেশি শহর নিয়ে ‘গ্লোবাল কোভেন্যান্ট অব মেয়রস’ নামে একটি বৈশ্বিক সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়, যেটার সঙ্গে মিলে বিশ্ব ব্যাংক এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সংগঠনটির কো-চেয়ার ও নিউ ইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ বলেন, “নগর ও নগরবাসীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়ছে। এ লড়াই চালিয়ে নিতে তহবিল জরুরি।”
প্যারিসের জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও দেশটির শত শত শহর এই চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।