রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার এবং অঞ্চল-৫ এর অথরাইজড অফিসার আশীষ কুমার সাহার গঠিত টাস্কফোর্স ধানমণ্ডি এলাকায় অভিযান চালায়।
ধানমণ্ডি ১০ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়ি আলতা প্লাজায় অভিযান চালায় টাস্কফোর্স। চার তলা নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে সেখানে ছয় তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া অবৈধভাবে নির্মিত অতিরিক্ত দুটি তলা এক মাসের মধ্যে অপসারণ করে নেওয়ার মুচলেকা দেন ভবন মালিক।
একই সড়কের ২ নম্বর বাড়িতে ‘বে ডেভেলপমেন্ট’ উন্মুক্ত জায়গায় অবৈধভাবে জেনারেটর রুম নির্মাণের অভিযোগে সেই ভবনের মালিককে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া আগামী এক মাসের মধ্যে অবৈধভাবে নির্মাণ করা অংশ অপসারণ করতে মালিককে নির্দেশ দেয় টাস্কফোর্স।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য অনুমতি নেওয়া থাকলেও তারা নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন তৈরি করেছেন।
“তারা রাজউকের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী তারা ভবনের অনুমোদন নিয়েছেন। কিন্তু ভবন তৈরি করেছেন নিজেদের ইচ্ছেমতো। তাদেরকে এর আগেও একাধিকবার নোটিস দেওয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করেননি। এ কারণে জরিমানা করা হয়েছে।”
অভিযানে নির্মাণাধীন ভবনের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি না থাকায় মিরপুর রোডের ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজমের নেতৃত্বে রামপুরা বনশ্রী আবাসিক এলাকার এ এবং বি ব্লকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৭৮টি বাড়ির সামনে অবৈধভাবে নির্মিত গাড়ি ওঠানামার র্যাম্প অপসারণ করা হয়। এ সময় অঞ্চল-৬ এর অথরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান জাহিরসহ রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।