দুবাইয়ের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার পথে রওনা হন।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
ওয়ান প্ল্যানেট সামিটে অংশগ্রহণ শেষে প্যারিস থেকে দেশের পথে দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনদিনের এই সফরে গত সোমবার প্যারিসে পৌঁছে মঙ্গলবার ওয়ান প্ল্যানেট সামিটে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি নিরাপদ পৃথিবী গড়তে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন।
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অভিন্ন প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নের কর্মপন্থা নির্ধারণ ছিল এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।
সম্মেলনের আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট থেকে উত্তরণে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে ফ্রান্সের সহযোগিতা চান। শেখ হাসিনার কাছে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিস্তারিত জেনে এর স্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার রাতে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সফরের শেষ দিন বুধবার সকালে ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনালের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ফরাসি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া ফরাসি তেল-গ্যাস কোম্পানি টোটালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ সেকে এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন ফন শাইকও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।