বাংলাদেশ সময় বুধবার মধ্যরাতে (প্যারিসের স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টা) প্যারিসের দ্য গল বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
‘ওয়ান প্ল্যানেট সামিটে’ যোগ দিতে সোমবার প্যারিস পৌঁছান শেখ হাসিনা।
পরদিন মঙ্গলবার ওয়ান প্ল্যানেট সামিটে নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অভিন্ন প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নের কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে এই সম্মেলন হয়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেন।
তার কাছে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিস্তারিত জেনে এর স্থায়ী সমাধানের কথাও বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার রাতে ফ্রান্স আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এই সফরের শেষ দিন বুধবার সকালে ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনালের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পাশাপাশি শহুরে অবকাঠামো, জ্বালানি ও সমুদ্র অর্থনীতি খাতে বিনিয়োগের জন্য ফরাসি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এছাড়া বুধবার ফরাসি তেল-গ্যাস কোম্পানি টোটালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ সেকে এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন ফন শাইক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুবাইয়ে তিন ঘণ্টার যাত্রাবিরতির পর বৃহস্পতিবার বিকালে দেশে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী।