তিনি বলেছেন, “প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে কয়েকটি কেন্দ্র স্থাপন করা সরকারের জন্য কঠিন কিছু হবে না। এতে খুব বেশি ব্যয়ও হবে না। আগামী বছর থেকেই প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে আমি আশা করছি।”
বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ : কৌশল, চ্যালেঞ্জ এবং সামনের পথ চলা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুহিত।
গত ২৯ নভেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “তিনশ’ আসনের নির্বাচনের জন্য আমাদের লোকজনের বিদেশে বাক্স নিয়ে যাওয়া সম্ভব না।”
প্রবাসীদের ভোটার করতে আইন সংশোধন করা হলেও সাত বছরে এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই সাংবিধানিক সংস্থাটির। ভবিষ্যতে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
অর্থমন্ত্রী মনে করেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ এবং মালয়েশিয়ায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যায়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
তাতে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি রয়েছে, এরমধ্যে প্রায় ২৪ লাখ ওই সব দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।
প্রবাসীদের মধ্যে বাছাই করে প্রবাসী পদক দিয়ে সম্মাননা দেওয়া ছাড়াও প্রতিবছর একদিন প্রবাসী দিবস পালন করার প্রস্তাব দেন মোবাশ্বের।
ইউএনডিপি‘র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত বলেন, “এদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বছরের একটি দিনকে সরকার চাইলে প্রবাসী দিবস ঘোষণা করতে পারে।”