আমৃত্যু কারাবাস হতে পারে আকায়েদের

নিউ ইয়র্কে ‘বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে’ আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক আকায়েদ উল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির উদ্দেশ্যে জনসমাগমস্থলে বোমা হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা আদালতে প্রমাণিত হলে তার বাকি জীবন কারাগারেই কাটবে।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2017, 07:54 PM
Updated : 13 Dec 2017, 05:52 AM

সোমবার ম্যানহাটনে ব্যস্ততম পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে ওই বিস্ফোরণে আকায়েদ ছাড়াও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ম্যানহাটন ফেডারেল কোর্টে তার বিরুদ্ধে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা, জনসমাগমস্থলে বোমা হামলা, ধ্বংসাত্মক ডিভাইস ও বিস্ফোরক ব্যবহার করে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে বাস টার্মিনালে বিস্ফোরণের পর সেখানে পুলিশের তৎপরতা- ছবি: রয়টার্স

ফেডারেল প্রসিকিউটরদের ওই লিখিত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পর আকায়েদ পুলিশকে বলেছে, “আমি এটা ইসলামিক স্টেটের জন্য করেছি।”

২৭ বছর বয়সী আকায়েদ নিজের সঙ্গে রাখা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণে আহত হয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন। তিনি আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে পুলিশ বলছে।

প্রসিকিউটররা বলছেন, ২০১৪ সালে ইন্টারনেটে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখে উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকতে থাকে আকায়েদ। এখন তিনি এ হামলা করেছেন মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ থেকে।

তাদের বাইরে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টও আকায়েদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা, পাইপ বোমার বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসবাদী হুমকির অভিযোগ এনেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আকায়েদের বিচারে ফেডারেল প্রসিকিউটরদের অভিযোগগুলোই বিবেচ্য হবে। আর তাতে তার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

সাত বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো আকায়েদ প্রথম দিকে ট্যাক্সি চালাতেন, ২০১৫ সাল থেকে একটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।

ছয় মাস বয়সী সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস থাকেন ঢাকায়। মঙ্গলবার ঢাকার জিগাতলার বাসা থেকে আকায়েদের স্ত্রী এবং তার বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।