ডাকসু নির্বাচনের দাবি গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সিনেট নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের প্যানেল গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2017, 06:11 PM
Updated : 12 Dec 2017, 06:11 PM

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

আওয়ামী লীগ ও সমমনাদের নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু তাদের কর্মসূচি উপস্থাপন করেন সংবাদ সম্মেলনে।

তাদের কর্মসূচিগুলো হল- ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ, ১৯৭৩ অধ্যাদেশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন সমুন্নত রাখা, সিনেটের মাধ্যমে নির্বাচিত উপাচার্য নিয়োগ, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা, প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, বছরে দুটি সিনেট অধিবেশন আহ্বান নিশ্চিত করা এবং নতুন নতুন যুগোপযোগী বিভাগ, গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করা।

রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ২৫ জন সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করেন।

আগামী ৬ জানুয়ারি শুরু হয় ১৩ ও ২০ জানুয়ারি তিন দিন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এবার রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে প্রায় ৪৪ হাজার ভোটার হয়েছেন।

গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব চুন্নু বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের তরুণ নেতৃত্ব গড়ে উঠে। আমি অবশ্যই নির্বাচন চাই । একথা কর্তৃপক্ষকে বার বার বলেছি। বর্তমান উপাচার্যকেও বলেছি “

হাই কোর্ট সিনেট পূর্ণাঙ্গ করতে বলেছিল, কিন্তু ডাকসু নিবার্চন থাকায় সিনেটে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি নেই।

ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়ার উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন বা সভায় অংশ নেবেন কি না- জানতে চাইলে পরিষদের প্রার্থী

ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “২৫ জনের কোরাম পূর্ণ হলে উপাচার্য সভা করতে পারবেন। তবে সিনেটের সকল কম্পোনেট পূর্ণ করা এবং তারপর সিনেটে উপাচার্য নির্বাচন করতে হবে বলে আদালতের রায়ে বলা আছে।”

একই প্রশ্নের জবাবে আরেক প্রার্থী অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, “২৫ জনের কোরাম পূর্ণ হলেই অধিবেশন ডাকতে পারবেন। কাজেই সিনেটের সকল কম্পোনেট আগে গঠন করতে হবে, সেটাতে ডাকসু পাঁচজনসহ। সুতরাং মাননীয় উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যারা আছেন, সকল বাস্তবতার নিরীক্ষে ডাকসু নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আর কীভাবে সিনেট আহ্বান করা যায়, সে বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করবেন।”

গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের ২৫ প্রার্থী

জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার, সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এ আর এম মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম এনামুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ফার্স্ট সহকারী ব্যবস্থাপক এ বি এম বদরুদ্দোজা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মুক্তিযোদ্ধা এম ফরিদউদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বারী, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান খান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক শরীফ আহমদ সাদী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।