পাঠান নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ছিলেন। যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের মামা পাঠান নেত্রকোনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ রায়ের ফলে তিনি পিপি পদে ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
তার পিপি হিসেবে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়।
আদালতে বিমলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সামসাদ।
আমিন উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পিপি থাকার বৈধতা নিয়ে যে রুল দিয়েছিল হাই কোর্ট, তা আজ যথাযথ ঘোষণা করেছে। এ কারণে গোলাম মোহাম্মদ খান পিপি পদে ফিরতে পারছেন না।”
এর আগে গত ২০ আগস্ট পাঠানের পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে রুল নিস্পত্তির জন্য হাই কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ।
শ্বশুরকে হত্যার দায়ে ১৯৮৬ সালে নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতে গোলাম পাঠানের যাবজ্জীবন সাজা হয়। হাই কোর্টও বিচারক আদালতের রায় বহাল রাখে।
এরপর হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত পাঠান।
তবে আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির মার্জনা পেয়ে ১৯৯৫ সালে তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
এরপর রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় যুক্ত হন গোলাম পাঠান। ২০০৯ সালে তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন নেত্রকোনা সদরের বাসিন্দা মো. মোশারফ হেসেন।
ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট গত ৮ আগস্ট পিপির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি শাপাশি রুল জারি করে।