সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার: স্পিকার

তরুণ জনশক্তিতে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2017, 02:03 PM
Updated : 14 Dec 2017, 06:59 AM

তিনি বলেছেন, “এখন সময় এগিয়ে যাওয়ার, আর পিছনে তাকানোর সময় নেই।”

মঙ্গলবার প্রথমবারের উদযাপিত জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবসের আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্পিকার।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আকস্মিকভাবে তুরস্ক সফরে যাওয়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

এ অনুষ্ঠানে তিনি দশটি ক্যাটাগরিতে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে ২০১৭ সালের ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার’ তুলে দেন।

এছাড়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে বিশেষ সম্মাননা এবং অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদও বক্তব্য দেন।

স্বাগত বক্তব্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সাফল্যের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। 

২০০৮ সালে নবম জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে স্পিকার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়গুলো সে সময় এতটা পরিচিত ছিল না। কিন্তু গত নয় বছরে সরকারের চেষ্টায় এ বিষয়গুলো মানুষকে ‘গভীরভাবে স্পর্শ’ করেছে।  

“বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যে দক্ষতা খুবই প্রয়োজন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নেওয়া পদক্ষেপগুলো তরুণ প্রজন্ম যেন রপ্ত করতে পারে, তা বিবেচনায় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”

তথ্য-প্রযুক্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী

এক মঞ্চে পুরস্কারপ্রাপ্তরা

ডিজিটাল সেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার সব রকমের চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তথ্য ও প্রযুক্তি আমাদের সহায়ক ও নির্ণায়ক হিসাবে কাজ করবে। আগামী দিনের বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে তরুণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”

তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন সরকারের নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের দেশের ১৬ কোটি মানুষের নিজেদের ভিশনে পরিণত হয়েছে।”

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টার ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আগে কখনো পলিসি ছিল না। অতীতে কোনো সরকার তা করেনি। প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় পলিসি প্রণয়ন করেছেন।”

সরকারের এবং রাজনৈতিক দলের বাইরেও অনেকে যে ওই স্বপ্ন পূরণে এ গিয়ে এসেছেন, সহায়তা করেছেন- সে কথাও স্মরণ করেন প্রতিমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, “নয় বছরে যত কাজ হয়েছে, তা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণেই সম্ভব হয়েছে।… প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখান, স্বপ্ন পূরণও করেন।”

 

‘টেন মিনিট স্কুল’ এর উদ্যোক্তা আইমান সাদিক অনুষ্ঠানের মূল প্রবেন্ধে ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার এবং ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী করা উচিত, কী উচিত নয়- তা তুলে ধরেন ১০ মিনিটে।

সোশাল মিডিয়ার শক্তির দিক তুলে ধরতে গিয়ে এ তরুণ উদ্যোক্তা বলেন, ধরা যাক, সাভারে একটি স্কুল খোলার জন্যে ৫ লাখ টাকা দরকার। একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসেই এখন সাত দিনে সেই টাকা পাওয়া গেছে।

সোশাল মিডিয়া ব্যবহারে অসচেতন হলে বিপদের কথাও তুলে ধরেন আইমান সাদিক।

এ অনুষ্ঠানে অনলাইনে খাদ্য শস্য ব্যবস্থাপনার একটি পরীক্ষামূলক অ্যাপ এবং মুক্তি ক্যাম্প নামের একটি গেইমের বেটা ভার্সন উদ্বোধন করেন স্পিকার।

এছাড়া সোশাল মিডিয়ায় ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ প্রচারাভিযানের জন্য মাহবুবুল আলম ইশতিয়াক ও সাইকা জামান জেবাকে শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়।