নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ভোগান্তি কমাতে নাগরিকদের ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) দেওয়ার পাশাপাশি বিমানবন্দরে ই-গেইট করার কথা সরকার বিবেচনা করছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2017, 01:52 PM
Updated : 12 Dec 2017, 01:52 PM

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জরুরি সেবা ৯৯৯- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিদেশে যেতে কাউকে টার্মিনালে দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।

“আমরা ই-পাসপোর্ট ও ই-গেইট করব। তখন আর এই ভোগান্তি থাকবে না।”

এক বছর পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহায়তার হেল্পলাইন ৯৯৯ পুরোদমে চালু হয়েছে।

যে কোনো ফোন (মোবাইল বা ফিক্সড লাইন ফোন) থেকে এই নম্বরে ফোন করলে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জরুরি প্রয়োজনে একজন ব্যক্তির তাৎক্ষণিক বিশেষ কিছু সেবার প্রয়োজন হয়। সাধারণভাবে এই সব সেবাই জরুরি সেবা। এ লক্ষ্যেই ৯৯৯ উদ্বোধন করা হয়েছে, এটা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য অর্জন।”

এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে আরও অনেক সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকাকে ‘সেইফ জোন’ করা হবে। এরপর একে একে অন্যান্য বড় শহরগুলোকেও ‘সেইফ জোন’ করা হবে।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র প্রতিশ্রুতি পূরণে অন্যান্য সংস্থার মতো পুলিশ বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ‘ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটে ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে।

এছাড়া সিআইডির তত্ত্বাবধানে ‘অত্যাধুনিক’ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেন্টার এবং টট্টগ্রামে সিআইডির বিভাগীয় অফিসে রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপনে বাংলাদেশ পুলিশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।

প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় মামলা তদন্তে পুলিশের ‘সার্বিক সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে’ বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় পুলিশের উদ্যোগে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এর বাস্তবায়ন বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার পথে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ভবিষ্যতে শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, দুরের্যাগ ব্যবস্থাপনাসহ দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও ৯৯৯ এর মাধ্যমে দেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, “লম্বা নম্বর মনে রাখা মানুষের পক্ষে সম্ভব না, তাই এই ৯৯৯।”

তিনি জানান, এখানে একসঙ্গে ১২০টি ফোন কল রিসিভ করা যাবে। এই সংখ্যা তিনশতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিয়ে আইজিপি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সাড়ে চার হাজার অ্যাম্বুলেন্সের মালিকের সাথে কথা হয়েছে এবং তারা আমাদের সেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।”