ফ্রান্সের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় প্যারিসের দ্য গল বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্যারিস লো গ্রান্ডে যান।
তিন দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী এখানেই থাকবেন।
সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে দুবাইয়ে দেড় ঘণ্টা যাত্রাবিরতি দিয়ে প্যারিসের পথে যাত্রা করেছিলেন শেখ হাসিনা।
প্যারিসে মঙ্গলবার ‘ওয়ান প্ল্যানেট সামিট’ অনুষ্ঠিত হবে।
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অভিন্ন প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নের কর্মপন্থা নির্ধারণই এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্বের ১৮৮টি দেশের ঐকমত্যে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির দুই বছরের মাথায় মঙ্গলবার এলিসি প্রাসাদে এ সম্মেলন মিলিত হচ্ছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।
ওই চুক্তিতে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে বেঁধে রাখার উদ্যোগে নেওয়া হবে, যাতে তা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকালে সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন। তার আগে সকালে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
তার আগে ফরাসি প্রেসিডেন্টের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে প্যারিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
এই সফর শেষে বুধবার রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
বোন শেখ রেহানা ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব মো.শহীদুল হক এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে রয়েছেন।