রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ এক সপ্তাহ স্থগিত

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘অতিরিক্ত’ ত্রাণ বিতরণের সুযোগে অনেকে তা মজুদ করছে জানিয়ে ‘অপচয়’ রোধে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন।  

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2017, 02:43 PM
Updated : 11 Dec 2017, 02:43 PM

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহম্মদ আশরাফ হোসেন (শিক্ষা ও আইসিটি) স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে রোববার এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১১ থেকে ১৭ ডিসেম্বর খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অনুরোধ করা হয় সেখানে।

পরিপত্রে বলা হয়, “বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মাঝে প্রায় বেশিরভাগ এনজিও ত্রাণ হিসেবে খাদ্য বিতরণ করছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী এবং নন ফুড আইটেম রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংরক্ষিত হচ্ছে ও অপচয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।”

কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী উখিয়া ও টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে ওই নির্দেশনার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

গত অগাস্টের শেষভাগে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন শুরু হলে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। গত সাড়ে তিন মাসে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে পর্যটন জেলা কক্সবাজারের দুটি আশ্রয় শিবিরে।      

জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রোহিঙ্গা শিবিরে ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। এর সমন্বয় করছে বাংলাদেশ সরকার।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফ হোসেন বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। অনেকে বাড়তি ত্রাণ সংগ্রহ করে মজুদ করছে, হাট-বাজারে বিক্রি করছে। ফলে সঙ্কটের মধ্যেও ত্রাণের অপচয় হচ্ছে।”  

এক সপ্তাহ বিতরণ বন্ধ থাকার মধ্যে কোনো পরিবারের সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষ কী করবে- এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, “কোনো পরিবার থেকে অভিযোগ বা চাহিদা পেলে যাচাই করে আমরা বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।”