নিহতের নাম মঞ্জিল হোসেন (৩০)। তিনি স্থানীয় একটি মোটর ওয়ার্কশপের মালিক ছিলেন।
বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার বেলা ২টার দিকে আফতাবনগরের ডি ব্লকের তিন নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসার ৬ষ্ঠ তলা থেকে মঞ্জিলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কী কারণে কারা মঞ্জিলকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন, “ওই বাসার দারোয়ান আবুল কালাম জানিয়েছে, সকালে একটি মেয়ে ও কয়েকজন যুবক ওই বাসায় এসেছিল। কিছুক্ষণ অবস্থানের পর যুবকরা চলে যাওয়ার সময় ওই মেয়ে ছয় তলা থেকে নিচে নেমে কাঁদতে কাঁদতে বলছিল, ‘ওরা মেরে ফেলেছে’।”
এরপর দারোয়ান ও বাসার অন্যান্য ফ্লাটের বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়।
আফতাবনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিহতের বাবা-মা নেই। তিনি বিয়েও করেননি।
“যেখানে তার মরদেহ পাওয়া গেছে, সেই ফ্লাটের মালিকও তিনি। বাসা থেকে কোনো মালামালও খোয়া যায়নি বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।”
মঞ্জিলের খুনিদের ধরতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সুরতহাল করার পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।