ডাকসু নির্বাচনের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র ওয়ালিদ আশরাফ।
Published : 09 Dec 2017, 01:49 PM
১৫ দিন ধরে অনশনরত ওয়ালিদকে পানি পান করিয়ে শনিবার দুপুরে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
২৭ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের মতামত জানানোর আনুষ্ঠানিক সুযোগ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জোর দেওয়ার পর বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ডাকসু নির্বাচনের দাবি তুলতে থাকার মধ্যে গত ২৫ নভেম্বর বিকালে ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাংলোর সামনে অনশনে বসেন ওয়ালিদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এমএসএস (সান্ধ্যকালীন) দশম ব্যাচের ছাত্র ওয়ালিদ নটরডেম কলেজে থেকে ২০০১ সালে এইচএসসি পাস করে সিদ্ধেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০৫ সালে ডিগ্রি সনদ নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
নানা সংগঠনের সমর্থন নিয়ে ওয়ালিদ অনশন চালিয়ে যাওয়ার পর শনিবার দুপুর পৌন ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এস এম মাকসুদ কামাল ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী ও ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে অনশনস্থলে যান।
শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙানোর পর অধ্যাপক আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ডাকসু নির্বাচন করব, তবে এজন্য সময় লাগবে।
“যেহেতু ডাকসুর সাথে অনেকগুলো কম্পোনেন্ট জড়িত, হঠকারীভাবে তো কিছু হয় না। দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার যে সংস্কৃতি, সেটা থেকে বেবিয়ে আসতে হবে।”
গত ১০ অক্টোবর হাই কোর্ট সিনেট পরিপূর্ণ করার বিষয়ে যে আদেশ দিয়েছে, তাতে ডাকসুর মাধ্যমে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতেরও বিষয়টিও চলে আসে।
বিষয়টি তুলে ধরা হলে উপাচার্য বলেন, “সব ধরনের নিয়ম অনুসরণ করা হবে। নিজেরাও নির্বাচনের তাগিদ অনুভব করি।”
অনশন ভাঙার পর ওয়ালিদ সাংবাদিকদের বলেন, “যেহেতু উপাচার্য স্যার এসেছেন, নির্বাচন দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন- তাই অনশন ভাঙলাম।”
অনশন ভাঙলেও ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেবেন বলে জানান এই শিক্ষার্থী।