এই সাংবাদিকের অভিযোগ, বিচারপতি এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করতে গিয়ে মাহবুবে আলমের শাসানি শুনতে হয়েছিল তাকে।
দুর্নীতি বিষয়ক সংবাদ প্রচারের জন্য সরকার প্রধানের সহযোগিতাও চেয়েছেন মোজাম্মেল বাবু।
কম্বোডিয়া সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ‘দুর্নীতির খবর’ প্রচার ও প্রকাশ না করায় উষ্মা প্রকাশ করেন।
এর পর মোজাম্মেল বাবু প্রশ্ন করতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “আপনাকে আরেকটা ব্যাপার শেষবারের মতো বলতে চাই। এখানে জনকণ্ঠ (স্বদেশ রায়) আছে, আমি আছি। আমরা যখন কোনো কিছু ধোঁয়া দেখতে পাই; আমরা কিছু করি।
“আপনার সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহযোগিতা তো পাই না, বরং বিপদে পড়ি।”
যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের শুনানি চলাকালে তার স্ত্রীকে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সাক্ষাৎ দিয়েছিলেন বলে খবর প্রচার ও প্রকাশ করায় জনকণ্ঠ ও একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে দণ্ডও দেয় আদালত।
নানা ঘটনার মধ্যে এস কে সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়; এরপর তিনি পদত্যাগ করেন।
মোজাম্মেল বাবু বলেন, “আমরা যখন আমাদের সাবেক চিফ জাস্টিসের দুর্নীতি এবং তারা নানা আলামত পাচ্ছিলাম.. জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ ও একাত্তর আমরা প্রচার করার চেষ্টা করি। ওয়ার্নিং দেওয়ার জন্য।
“আমাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। জনকণ্ঠের সম্পাদক তো রীতিমতো সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজা লাঘব করে ছয় ঘণ্টা করেছে, কিন্তু কনভিক্টেড।
“আর আমার দিকে তাকিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব বলেছিলেন, এটা তো আরও বড় ক্রিমিনাল, এটাকে আস্তে ধীরে দেখতে হবে।”
এসময়, প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশের ভঙ্গিতে বলেন, “অ্যাটর্নি জেনারেল?”
জবাবে বাবু বলেন, “জী.. জী।
“আমরা শুধু বলেছিলাম, সাকা চৌধুরীর পরিবারের সাথে জড়িত। এই তথ্যের কারণে আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে যখন দুর্নীতির সংবাদ প্রচার করি, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস এবং বিভিন্নভাবে আমাদের শাসানো হয়েছে, ‘আপনারা চিফ জাস্টিস এবং আগুন নিয়ে খেলছেন’।”
তিনি বলেন, “যে চিফ জাস্টিস পে অর্ডারে ঘুষ নিতে পারে, সে সংবাদ আমরা প্রচার করব।”
এজন্য সহযোগিতা চেয়ে বাবু বলেন, “আমাদেরকেও একটু প্রটেকশন দিতে বলেন, আপনার অফিসগুলোকে।”