ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় শীতলপাটি

ইউনেস্কোর নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের (ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ) তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির বয়নশিল্প।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2017, 09:33 AM
Updated : 6 Dec 2017, 01:58 PM

ইউনেস্কোর নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটি বুধবার শীতলপাটির বয়নপদ্ধতির স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে বলে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ওই কমিটির বৈঠক, চলবে শনিবার পর্যন্ত। কমিটির আলোচ্যসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল ২০১৭ সালের নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা অনুমোদন।

বাংলাদেশের শীতলপাটির বয়নশিল্পের সঙ্গে ১৯টি দেশের ১৫টি নৈর্ব্যক্তিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সদ্য অনুমোদিত তালিকায় স্থান পেয়েছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জাতীয় জাদুঘর শীতলপাটির বয়নপদ্ধতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কমিটির কাছে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল।

আগের দিন সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরে শীতলপাটির এক বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে এসে সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, কমিটির চলতি অধিবেশনে স্বীকৃতির বিষয়টি ‘প্রায় নিশ্চিত’, এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।

জাতীয় জাদুঘরে মঙ্গলবার প্রদর্শীত সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি। ছবি: দীপু মালাকার

এর আগে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলার বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী জামদানী বুনন পদ্ধতি ইউনেস্কোর নির্বস্তুক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।

বাংলাদেশের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন বাংলার শীতলপাটি। লোকশিল্পটি মুর্তা নামক গাছের বেতি থেকে বিশেষ বুনন কৌশলে শিল্পরূপ ধারণ করে।

জাতীয় জাদুঘরে মঙ্গলবার সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি প্রদর্শনীতে শীতলপাটি তৈরি করছেন এক কারিগর। ছবি: দীপু মালাকার

বৃহত্তর ঢাকা বিভাগ, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কিছু অংশে এই বেত গাছ জন্মালেও শীতলপাটির বুননশিল্পীদের অধিকাংশের বসবাস সিলেট বিভাগে। বৃহত্তর সিলেটের ১০০ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার পরিবার সরাসরি এই কারুশিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জাতীয় জাদুঘর এক সমীক্ষায় জানিয়েছে।

সিলেটের শীতলপাটির এই বুননশিল্পীরা ‘পাটিয়াল’ বা ‘পাটিকর’ নামে পরিচিত।