লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান আনিসুল হক।
তার আনিসুল হকের মৃত্যুতে দেশবাসীর মধ্যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বলে শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, “না ফেরার দেশে চলে গেলেও সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার ভূমিকা দেশবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
“একজন সজ্জন মানুষ হিসেবে আনিসুল হকের এই অকাল মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”
মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বর্ণাঢ্য জীবনকর্মের কথা স্মরণ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “সফল উদ্যোক্তা আনিসুল হকের সুনাম ছিলো সর্বজনবিদিত। তিনি তার অর্পিত দায়িত্ব পালনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। একজন কর্মনিষ্ঠ ও বিনয়ী মানুষ হিসাবে তিনি সর্বমহলে সমাদৃত।
“সমাজ সেবার নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যেও নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। জীবদ্দশায় নানামুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত রেখে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে নিজেকে ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিলেন আনিসুল হক।”
তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী আনিসুল হক ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এফবিসিসিআইর সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আনিসুল হক তার আগে বিজিএমইএর সভাপতিও ছিলেন। সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক মেয়র আনিসুল হকের ছোট ভাই।