আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস (২৫ নভেম্বর - ১০ ডিসেম্বর) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিককালে বাসে নারীদের জামা কেটে নেওয়া থেকে শুরু করে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা হয়। এই অসভ্যতা, বর্বরতা, পাশবিকতা কোন পরিবারের সন্তানেরা করে থাকে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। ধর্ষিতা নয়, ধর্ষণকারীকেই প্রমাণ করতে হবে, সে ধর্ষণ করেনি।”
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এখনো ঔপনিবেশিক ভারতে বৃটিশদের প্রণীত সাক্ষ্য আইন অনুসৃত হচ্ছে। ওই আইনে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ধর্ষককে ধর্ষিত নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এই আইনের ১৫৫ (৪) ধারায় বলা আছে: “কোনো ব্যক্তিকে যখন ধর্ষণ বা বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হয়, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা।”
সংবিধানের পরিপন্থী ও নারীর জন্য চরম অবমাননাকর এই বিধান বাতিল করে আইনটি সংশোধনের ঘোষণা থাকলেও তার খসড়া এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
সমাবেশে বিশ্বজুড়ে নারী নির্যাতনের চিত্র এবং তার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
আয়শা খানম বলেন, “নারী নির্যাতন কেবলমাত্র নারীর জন্য নয়, সমাজের যে কোনো পর্যায়ে এই ধরণের ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশের সম্মানকে ক্ষুণ্ন করে।”
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, “নারী ও শিশুদের প্রতি ধর্ষণের যে ক্রমবর্ধমান হার, তা আমাদের আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।”
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম বক্তব্য দেন।