মঙ্গলবার রাজধানীর বিকালের আবহাওয়া ছিল বেশ কুয়াশাচ্ছন্ন, যা নিয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠে নগরবাসী।
কৌতূহল মেটাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদের দ্বারস্ত হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন শীতকালের দিকে যাচ্ছে আবহাওয়া। কুয়াশা বাড়বে, রাতে তাপমাত্রা কমবে। উত্তরী হাওয়াও বইছে।”
হেমন্তের শেষভাগে শীতের আমেজ থাকলেও ইট-পাথরের ঢাকায় তা টের পাওয়া ভার। তবে নদী অববাহিকা এলাকাগুলো রাত থেকে সকাল অবধি কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখন দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদীর অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা বা মাঝারি মাত্রার কুয়াশা থাকতে পারে।
সব মিলিয়ে শুষ্ক আবহাওয়ায় কুয়াশার পরিমাণ বাড়ছে বলে জানান সামছুদ্দিন।
“কুয়াশা নদ-নদী অববাহিকায় বাড়বে এখন। তবে স্থান ভেদে কম-বেশি হতে পারে। আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীতে বিকালে কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে।”
ডিসেম্বরে শীতের তীব্রতা থাকবে বলে আভাস দেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক।
ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাসও রয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়ার অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, ডিসেম্বরের শেষার্ধ্বে উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তীব্র (৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্য প্রবাহ এবং অন্যান্য স্থানে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
শুষ্ক শীত মৌসুমে ঢাকায় বায়ুর মানও বছরের যে কোনো সময়ের চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকে।
বর্ষায় দেশের প্রধান শহরগুলোর বাতাস বেশ ভালো অবস্থায় থাকলেও শীতে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং এই সময়েই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চাপ থাকে বলে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে ওঠে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান, সহনীয় মাত্রার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাসমান ক্ষতিকর বস্তুকণা ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বাতাসে বিরাজ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এই পরিস্থিতি বিশেষ করে শিশুদের রোগাক্রান্ত হওয়া এড়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।