হারানো এনআইডি: আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ছাপানোর সিদ্ধান্ত

ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের উপর থেকে চাপ কমাতে হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আঞ্চলিক কার্যালয়ে ছাপানোর অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2017, 05:16 PM
Updated : 27 Nov 2017, 05:17 PM

তবে কবে থেকে তা ছাপানো সম্ভব হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

সোমবার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়েছে বা নষ্ট হয়েছে,তাদের এই পরিচয়পত্র তুলতে ঢাকায় আসতে হবে না। হারানো বা নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ১০টি আঞ্চলিক অফিসে প্রিন্ট করার ব্যবস্থা করা হবে।”

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও ফরিদপুরে ইসির আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, কার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে তাতে যাচাইয়ের দরকার পড়ে না। থানায় সাধারণ ডায়রির (জিডি) অনুলিপির সঙ্গে নির্ধারিত ফি জমা দিলেই কেন্দ্রীয় অফিস থেকে কার্ড ছাপিয়ে দেওয়া হয়।

কার্ড সংশোধন, ডুপ্লিকেট এনআইডি কার্ড সংগ্রহসহ নানা ধরনের সেবা নিতে প্রতিদিন হাজারো নাগরিক ভিড় করছে ইসি ভবনে।

আঞ্চলিক অফিসে হারানো বা ডুপ্লিকেট ছাপানোর অনুমতি দিলেও সংশোধন করা কার্ড প্রিন্টের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

হারানো কার্ডের ডুপ্লিকেট সংগ্রহের জন্য উপজেলা থেকে ঢাকায় আসা কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। এজন্য কমিশন সভায় বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এনআইডির সব ধরনের সেবা কার্যক্রম কেন্দ্রীভূত থাকায় নির্বাচন কমিশন ও এনআইডি প্রকল্পের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা অর্থ আদায়সহ নাগরিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে আগারগাঁওয়ের পাশাপাশি দেশের পাঁচ শতাধিক উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দিতে আবেদনপত্র নেওয়া হয়।

নতুন ভোটার হতে কোনো ধরনের ফি না লাগলেও অন্য সেবা নিতে নির্ধারিত ফি দিতে হয়। সেক্ষেত্রে জরুরি ও সাধারণ সেবায় ৭ দিন থেকে একমাস সময় লাগে।

দেশের ১০ কোটি ১৮ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে, যাদের অধিকাংশকেই লেমিনেটেড এনআইডি কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের উন্নতমানের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হচ্ছে। তবে ২০১৪ সালের পরে নিবন্ধিত কোটি নাগরিকের হাতে কোনো ধরনের কার্ড এখনও পৌঁছেনি।