কলকাতার হাওড়ার ডবসন রোডের একটি হোটেলে গত মাসে তাদের অবস্থানের খবরও পুলিশ পেয়েছে বলে আনন্দবাজার জানিয়েছে।
তামিম ওরফে মুন ওরফে স্বপন বিশ্বাসের সঙ্গে নয়ন গাজি ওরফে সাইফুল গাজী নামে আরেকজনও সেই হোটেলে ছিলেন বলে জানিয়েছে কলকাতার দৈনিকটি।
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) ডিসি (এসটিএফ) মুরলীধর শর্মা বলেছেন, “বাংলাদেশে ব্লগার খুনে অভিযুক্ত তামিম ওরফে মুন ওরফে স্বপন বিশ্বাস। সে এবিটি-র অপারেশন টিমের সদস্য।”
গত কয়েক বছর বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন ব্লগার, লেখক, অধ্যাপক হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা বাংলাদেশ পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।
গত বছর গুলশান হামলার পর সাঁড়াশি অভিযানে এই সব হামলায় আনসারুল্লাহর পাশাপাশি জেএমবির নবগঠিত একটি অংশের সম্পৃক্ততাও ওঠে আসে তদন্তে।
জেএমবির ওই দলকে নেতৃত্বদানকারী কানাডাপ্রবাসী তামিম চৌধুরী গত বছরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হন। তার বাড়ি ছিল সিলেটে।
কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যেই তামিমকে খুঁজছেন তার বাড়ি খুলনায় এবং সাইফুল সাতক্ষীরার বাসিন্দা। তবে হাওড়ার হোটেলে তামিম উত্তর চব্বিশ পরগণার বাজিতপুরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা মুরলীধর বলেছেন, তামিম ও তার শিষ্য সাইফুলের খোঁজ দিতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আনসারুল্লাহর সদস্য সন্দেহে সামশাদ মিয়া ওরফে তানবির, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সুমন নামে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর শিয়ালদহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহাদাত হোসেন নামে ভারতীয় আরও একজনকে।
শাহাদাত ও তানবিরকে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ২০১৬ সালে তানবিরের সঙ্গে তামিম বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। তারা ওঠেন হাসনাবাদে শাহদাতের শ্বশুরবাড়িতে। পরে তারা হায়দরাবাদে পাড়ি জমান। গত অক্টোবরে তামিমকে হাওড়ার ডবসন রোডের হোটেলে দেখা যায়।
ওই হোটেলের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ১ অক্টোবর তামিম ও অন্যজন হোটেলে এসে তিন দিন থাকে।
সিসিটিভি ফুটেজ তাদের ছবি দেখে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয় বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।