পারিবারিক নির্যাতন নিয়ে নারীদের প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান

ধর্ষণ, হত্যা ও এসিড সন্ত্রাসের পাশাপাশি পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধেও নারীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান এসেছে নারী নির্যাতনবিরোধী একটি অনুষ্ঠান থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2017, 03:18 PM
Updated : 24 Nov 2017, 03:18 PM

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী বলেন, “ধর্ষণ, হত্যা, এসিড সন্ত্রাস যদি নির্যাতন হিসেবে গণ্য হয়, তবে পরিবারের নির্যাতনগুলোও নির্যাতন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

“যতক্ষণ না পর্যন্ত পারিবারিকভাবে নারী-পুরুষের বৈষম্য বন্ধ হবে, সমান অধিকার নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্যাতন বন্ধ হবে না।”

নারী নির্যাতন চলতে থাকলে তা বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রেখা চৌধুরী বলেন, “নারী তার যোগ্যতার বলে আজ এত দূর অগ্রসর হয়েছে। সকল নেতিবাচক দৃষ্টি পরিহার করে আমাদের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”

সব ধরনের নারী নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

‘কেউ রবে না পিছে; নারী ও শিশু নির্যাতন মুক্ত জীবন চাই’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউএন ওমেন। তাদের সঙ্গে ছিল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম, আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট, ইউএন ওমেন, কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম, দুর্বার নেটওয়ার্ক, নিজেরা করি, নারীপক্ষ, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক, ব্ল্যাস্ট, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, মর্যাদায় গড়ি সমাজ, সাংগাত, সচেতন সমাজসেবা হিজড়া সংঘ ও সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক।

অনুষ্ঠানে ইউএন ওমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শোকো ইশিকাওয়া সবাইকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “নারী নির্যাতন বন্ধে সকল সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে হবে। সকল নির্যাতনের বিচার করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করে গান, নাচ, কবিতা ও নাটক পরিবেশন করা হয়। কণ্ঠশিল্পী সায়ান, অনীমা মুক্তি, মনির গান পরিবেশন করেন।

‘আমরাই পারি’ নাট্যদল নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘তিনকন্যা’ নাটিকা উপস্থাপন করে। নাটিকাতে তনু, রিশা ও রূপার হত্যা, নির্যাতন ও বিচার বিলম্বের চিত্র ফুটে ওঠে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস থেকে শুরু করে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত সব ধরনের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার অবসানে ১৬ দিনের কর্মসূচি পালন করা হবে।