মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন বৃহস্পতিবার বিকালে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
আয়োজকরা জানান, অনলাইনে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই প্রদর্শনীর জন্য ছবি আহ্বান করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৪-৩০ বছর বয়সী প্রায় ১৫০ জন আলোকচিত্রীর পাঠানো ছবি থেকে বাছাই করা ২৩ জন আলোকচিত্রীর ২৪টি একক ছবি এবং একটি গল্পছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী।
তারা জানান, এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য নারী-পুরুষের ভেদাভেদ না করে প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতন করা, একে সামাজিক সচেতনতার বিষয় হিসাবে তুলে ধরা।
প্রদর্শনীতে উঠে এসেছে মানুষ হিসাবে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সিদ্ধান্ত ও পছন্দের মূল্যায়ন। এতে উঠে এসেছে, তরুণদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতার কথা।
নারীর জীবনের এমনি নানা পর্যায়ের ছবি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। নারীকে কখনও সর্বংসহা, কখনও অত্যাচারের শিকার, কখনও সাহসী ভূমিকায় ধারণ করেছেন আলোকচিত্রীরা।
এই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঢাকার মৌ আক্তার সুরভি, প্রথম রানার-আপ ঠাকুরগাঁওয়ের আলোকচিত্রী জ্যোতির্ময় দেব, দ্বিতীয় রানার-আপ সিলেটের আলোকচিত্রী আইমান নাকিব এবং সেরা গল্প ছবির আলোকচিত্রী যুথিকা দেউরি।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মানবাধিকারকর্মী ‘নিজেরা করি’ সংগঠনের সমন্বয়ক খুশি কবির এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জেড আই খান পান্না।
আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রদর্শনী।