বৃহস্পতিবার সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি বলেছেন, ঘরে বসে মানুষ খুন হচ্ছে, একের পর এক নিখোঁজ হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে।
রওশন বলেন, “মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে। এগুলো বানানো কথা না। খবরের কাগজে আছে। কীভাবে নিখোঁজ হল? অনিরুদ্ধ নিখোঁজ হল। নিখোঁজ হয়ে কোথায় গেল, কে নিয়ে গেল? আমরা জানতে পারিনি।”
কে বা কারা তাকে তুলে নিয়েছিল এবং কোথায় তাকে রাখা হয়েছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রওশন এরশাদ বলেন, “ঢাকাকে তিলোত্তমা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। কার্তিক মাসে যে বৃষ্টি হলো তাতে তলিয়ে যাওয়ার অবস্থা, জলাবদ্ধতা।
“একশ বছর আগে একজন বিশেষজ্ঞ ঢাকাকে সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। একশ বছর পর সেই শহরে জলাবদ্ধতা। ৫৪টা খাল ছিল ওয়াসার আওতায়, এখন ৮-১০টি খালেরও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। খালগুলো নেই। ৩০ বছর আগে আমরা ছিলাম। দায় কিন্তু ইমিডিয়েট পাস্ট সরকারের।”
“নদী থেকে বালু তোলা আর পাথর তোলা… যেভাবে তুলছে অপরিকল্পিতভাবে। তাহলে ভূমি ধস হবে। অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে।”
রোহিঙ্গা সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যা আছে। শুনলাম সমাধান হচ্ছে। হলে কী হবে- মিয়ানমার বলতে পারে বাংলাদেশের বাসিন্দা আমরা নেব না। এগুলো ভাবতে হবে।”
বক্তব্যে সংসদ সদস্যদের প্লট দেওয়ার দাবি আবারও তুলে ধরেন বিরোধী দলীয় নেতা।
“নতুন এমপি যারা হয়েছেন তারা প্লটের আবদার করেন। প্লট দেওয়া গেলে তাদের মনটা ভালো হয়ে যাবে।”