বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর বাসাবোয় ভাড়া বাসায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
আহমেদ কামাল ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন বলে তার নিকট আত্মীয় শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
দেবরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে আহমেদ কামাল ছিলেন সবার ছোট। জীবিত ছিলেন শুধু তিনিই।
তার বাবা মনসুর রহমান ছিলেন সরকারি চাকুরে ছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানে তার দায়িত্ব পালনের সুবাদে সেখানেই উচ্চ শিক্ষা নেন আহমেদ কামাল।
স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনে এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০০৬ সালে অবসরে যাওয়ার আগে তিনি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অবিবাহিত ছিলেন আহমেদ কামাল। তিনি খুব সাধারণ জীবন-যাপন করতেন বলে বন্ধুদের ভাষ্য।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না বলে ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।
রাজনীতি থেকে দূরে থাকা আহমেদ কামাল ২০১৫ সালে ঢাকায় জিয়াউর রহমানের জন্য মিলাদ মাহফিল করে আলোচনায় আসেন। তিনি জিয়াউর রহমানের আদর্শে নতুন দল গঠন করবেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল সে সময়।
তার আত্মার শান্তি কামনা করে এক শোক বার্তায় খালেদা জিয়া বলেছেন, “মরহুম আহমেদ কামাল পারিবারিক ও সামজিক জীবনে বিনয়ী, সদালাপী ও কর্মনিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। তিনি পেশাগত জীবনে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
“সমাজ সেবার নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যেও তিনি নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। আমি মরহুম আহমেদ কামালের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”
আহমেদ কামালের মৃতদেহ ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদে তার জানাজা হবে বলে বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় দাদার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে কামালের দীর্ঘদিনের বন্ধু অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের খান জানিয়েছেন।