সরকারি চাকুরেদের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে আগামী ২৫ নভেম্বরের যে আনন্দ শোভাযাত্রা হবে, তাতে অংশ নিতে হবে সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2017, 12:13 PM
Updated : 22 Nov 2017, 12:13 PM

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়েছে, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্র্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জনকে আগামী ২৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগরীসহ সকল জেলা ও উপজেলায় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র মাধ্যমে উদযাপনের কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে।

“বর্ণাঢ্য, আকর্ষণীয় ও সর্বাঙ্গীন সুন্দরভাবে উক্ত কর্মসূচি একযোগে সারা দেশে উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।”

এই কর্মসূচি উদযাপনের জন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ঢাকায় অবস্থানরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. সাজজাদুল হাসান স্বাক্ষরিত নির্দেশাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং সব বিভাগীয় কমিশনারদের পাঠানো হয়েছে।

গত ১৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে যোগ দেন অনেকে

৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতিতে নাগরিক কমিটির ব্যানারে গত শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দিয়েছিলেন।

একাত্তরের ৭ মার্চ যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত হয়েছে।

৪৬ বছর আগে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) স্বাধীনতাকামী সাত কোটি মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।