আপন মালিকদের পাঁচটি আবেদনের শুনানি করে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করে।
ঢাকার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গত মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেনের’ তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দারা।
এরপর গত ১২ অগাস্ট শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর মুদ্রাপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দিলদার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গুলশান, ধানমণ্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেনি।
এসব মামলায় দিলদার ভাইয়েরা হাই কোর্ট থেকে জামিন নিলেও তার মেয়াদ শেষে নিয়ম অনুযায়ী নিম্ন আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
তিন ভাই ২৪ অক্টোবর ঢাকার মহানগর আদালতে ভিন্ন ভিন্ন হাকিমের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে দিলদার ও তার ভাইয়েরা হাই কোর্টে আসেন। তাপের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমদ।
আদেশের পর আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “একটি সোনার দোকানকে কেন্দ্র করে শুল্ক আইনে নোটিস দেওয়া হযেছিল, সেখানে চোরাচালানের অভিযোগের কথাও বলা ছিল। সেই নোটিস পেন্ডিং থাকা অবস্থায় মামলা করেছে। কিন্তু এটা অর্থ পাচার আইনের বিষেই নয়। ব্যবসার সুনাম নষ্ট করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে।”
এই আইনজীবী জানান, দুই সপ্তাহ পর বিষয়টি আবারও আদালতে আসবে এবং আদালত সে সময় অ্যাটর্নি জেনারেলকে শুনানি করতে বলেছে।