প্যারাডাইস পেপার্সে যাদের নাম, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় টিআইবি

প্যারাডাইস পেপার্সে বাংলাদেশি যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2017, 06:21 PM
Updated : 21 Nov 2017, 06:21 PM

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে ‘পাচারকৃত অর্থ’ ফেরত আনারও দাবি জানান তিনি।

গত বছর পানামা পেপার্সে যাদের নাম এসেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছিল টিআইবি।

দুর্নীতি দমন কমিশন তখন উদ্যোগ নিলেও দেড় বছরেও অনুসন্ধান শেষ করতে না পারার কথা সম্প্রতি জানান কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

গত বছর পানামার ল’ ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার বিপুল সংখ্যক নথি ফাঁসের পর বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়। গোপনে অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত অঞ্চলগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অর্থ খাটানোর বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে এতে।

এরপর এই মাসের শুরুতে বারমুডার ল ফার্ম অ্যাপলবির গ্রাহকদের ১ কোটি ৩৪ লাখ নথি ফাঁস করে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে)। 

পানামা পেপার্সে দেড় ডজনের মতো বাংলাদেশির নাম আসার পর প্যারাডাইস পেপারেও নাম এসেছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর পরিবারের।

পানামা পেপার্স ও অফশোর লিকসের মতো প্যারাডাইস পেপার্সেও যাদের নাম এসেছে, তারা আইন ভেঙে সম্পদ গড়েছেন, সরাসরি এমনটা বলা হচ্ছে না।

প্রভাবশালী এই ব্যক্তিরা গোপনে অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছেন এমন সব জায়গায়, যেখানে কর নিয়ে কড়াকড়ি নেই; সম্পদের উৎস নিয়েও কেউ মাথা ঘামাবে না।

পানামা পেপার্স নিয়ে দুদকের তদন্তে হতাশা প্রকাশ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “প্যারাডাইস পেপার্সে বাংলাদেশের যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশিত হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনা ও এ ব্যাপারে জড়িতদের অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিদ্যমান আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে দুর্নীতি-সহায়ক দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই দেশের বাইরে নামে-বেনামে ব্যাপক অর্থ পাচার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।