সম্প্রচার আইনে অবসান ঘটবে উৎকণ্ঠার: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় সম্প্রচার আইন সংসদের আগামী অধিবেশনে তোলার আশা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তা পাস হলে সাংবাদিকদের উৎকণ্ঠা দূর হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2017, 12:05 PM
Updated : 21 Nov 2017, 12:13 PM

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ব্রডকাস্ট প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)’ আয়োজিত শোভাযাত্রা ও সমাবেশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

সব সংবাদ মাধ্যমকে একই আইনের ছাতায় আনতে সম্প্রচার আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এই আইনের অধীনে সম্প্রচার কমিশন গঠন হবে। জাতীয় সম্প্রচার কমিশন সংবাদ মাধ্যমের জন্য নীতিমালা ও বিজ্ঞাপনের হার ও ফি নির্ধারণ করবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রসারমান গণমাধ্যমের জগতের ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সম্প্রচার আইন আগামী শীতকালীন অধিবেশনে হাজির করতে সক্ষম হব বলে আশা করি।

“সেই আইনের বলে একটি সম্প্রচার কমিশন হবে। সেই কমিশনের মাধ্যমে বিশেষ করে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের জগতটাকে ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হবে।”

ইনু বলেন, “আমি এই আইনটা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি, সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই বছর ধরে আলোচনা চলছে। এটা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।

“সম্প্রচার আইন আপনাদের যে উৎকণ্ঠা- সেই উৎকণ্ঠা মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।”

আইনের খসড়া ওয়েবসাইটে তোলা হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তখন সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের মতামত দিতে পারবেন।

টেলিভিশনের প্রযোজকদের সংগঠন বিপিএর সাধারণ সম্পাদক নুর সাফা জুলহাজ তাদের নানা সুপারিশ তথ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে টেলিভিশনের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, তা কেবলই বিজ্ঞাপননির্ভর। ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল থেকে একটি টেলিভিশন একটি পয়সাও পায় না। ফলে বাংলাদেশ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল কেবল অপারেশন চ্যানেলকে নিয়োগ দেয়।

“আমাদের মনে হয়, এটা একটা নীতিমালার আওতায় আনতে হবে এবং সেখানে আমরা মনে করি-এই ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল থেকে সাবস্ক্রিপশনের মধ্য দিয়ে টেলিভিশনগুলো যেন দর্শকের টাকা সরাসরি পায়।

এর মধ্য দিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এই বিবেচনাটি খুব জরুরি বলে আমরা মনে করি।”

টেলিভিশনকে সরকারিভাবে একটি শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবিও জানান জুলহাজ।

তথ্যমন্ত্রী টেলিভিশনে বিকৃতি উচ্চারণ পরিহারের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ‍মুহাম্মদ শফিকুর রহমানও একই প্রসঙ্গে বলেন, “দুঃখজনকভাবে বলতে হয়, নাটকের নামে যে ধরনের সংলাপ, আঞ্চলিক ভাষার নামে অরুচিকর, অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করা হয়, তা ঠিক না।

“কারণ একটি সম্প্রচার মাধ্যম, একটি গণমাধ্যম শিক্ষকের ভূমিকা পালন করবে।”

বিপিএর সভাপতি শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম ও সহ-সভাপতি  নাজমুল আলম তাপসও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।