মুক্তিযোদ্ধার ন্যূনতম বয়সের গেজেট কেন অবৈধ নয়: হাই কোর্ট

মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে শর্ত দিয়ে সরকারের জারি করা গেজেটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2017, 09:33 AM
Updated : 21 Nov 2017, 09:33 AM

গত বছরের ১০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ সংক্রান্ত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল করিম ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।

রিট আবেদনটি দায়ের করেন উপ-হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি) খন্দকার সহিদুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রধান হিসাব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত উপ-মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (প্রশাসন) থেকে সহিদুল ইসলামকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা দাবির স্বপক্ষে কাগজপত্রের সত্যতা না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাকে প্রত্যয়ন করা যায়নি।

এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেই পরে হাই কোর্টে রিট করেন সহিদুল ইসলাম।

আবেদনে বলা হয়, ভারতীয় তালিকায় এবং লাল মুক্তি বার্তায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম রয়েছে। ১৯৮১ সালের ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অডিটর পদে চাকরিতে নিয়োগও দেওয়া হয় তাকে।

গত বছরের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট জারি করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে রয়স ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।’

পরে সহিদুল ইসলাম ওই রিটে এ গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ১৩ বছর না হওয়ার কারণে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করছে না অডিটর অফিস।

আলতাফ হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নির্ধারণ করে গত বছর সরকার যে গেজেট জারি করেছিল, হাই কোর্ট সেই গেজেটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছে।

একইসঙ্গে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত উপ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (প্রশাসন) দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকসহ আটজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।