পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন নয় বছর ধরে কোমায় ছিলেন; সোমবার তার মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ‘প্রিয়’ নামে পরিচিত এই রাজনীতিক ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
প্রিয়রঞ্জন দাশমুনন্সির মৃত্যুতে শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। তিনি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান।
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী দীপা দাশমুন্সিও ভারতের লোকসভার সদস্য ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাত্তরে প্রিয়রঞ্জনের ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
একাত্তরে ভূমিকার জন্য প্রিয়রঞ্জনকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’দিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে ঢাকায় শেখ হাসিনার কাছ থেকে ওই সম্মাননা স্মারক নেন তার পরিবারের সদস্যরা।
ভারতের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুবনেতা হিসেবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন প্রকৃত বন্ধু হারাল।”