যৌন নির্যাতনের সেই সব খবর কই: তথ্যমন্ত্রী

কর্মস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা নারীরা অহরহ যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও তা গণমাধ্যমে আসছে না বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2017, 01:31 PM
Updated : 20 Nov 2017, 01:47 PM

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে গণমাধ্যম ও আমাদের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক এক সংলাপে বক্তব্যে এই দাবি করে তিনি গণমাধ্যমকে ‘চক্ষু লজ্জা’ ভাঙার আহ্বান জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারি কর্মচারী ... গার্মেন্টসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে যান, অহরহ এই ধরনের ঘটনা (নারীকে যৌন নির্যাতন) ঘটছে। পেপারে রিপোর্ট কই? কোনো রিপোর্ট তো দেখি না।”

“কোনো রিপোর্ট দেখি না যে, কয়জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যৌন হয়রানির জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন? কী সরকারি বা কী বেসরকারি। রাজনীতির অঙ্গনে, পলিটিক্যাল পার্টিতে বড় বড় হর্তাকর্তাদের দ্বারা তাদের নারীকর্মীর প্রতি যৌন হয়রানি, সেটার কী....,” বলেন জাসদ সভাপতি ইনু।

যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে নারীদের উল্টো হয়রানির শিকার হওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী ইনু।

এই অবস্থা বদলাতে চলচ্চিত্র, নাটক-নাটিকা, প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।

“গণমাধ্যম এমন সচেতনতা দিতে পারে, যে সচেতনতা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বৈষম্য, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করে। গণমাধ্যম এই বিষয়ে প্রচারে আসলে দ্রুত মানুষের চেতনার পরিবর্তন হবে, যা সরকার একটি আইন করলেও এতটা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।”

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সংশ্লিষ্ট আইন ব্যবহার বাড়ানোর জন্য ভুক্তভোগীদের অভিযোগ উপস্থাপন করার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।

 “নারীর প্রতি কোনো ধরনের সহিংসতা হলে তা লুকিয়ে রাখা ঠিক হবে না। বিষয়টি বলতে হবে। মা, বাবা, ভাই, শিক্ষককে বলতে হবে। নারীকে না বলার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বলা শুরু হলে যৌন হয়রানি, নিযাতন, ইভটিজিং কমে আসবে।”

বাল্য বিয়ে বন্ধে পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের কাউন্সেলিং করার উপর জোর দেন তথ্যমন্ত্রী।

ন্যাশনাল হাইওয়েজ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এনএইচডিপি) আয়োজিত এই সংলাপে এই প্রকল্পের ‘জেন্ডার স্পেশালিস্ট’ লাবলী ইয়াসমিন জেবা সঞ্চালনা করেন।

এতে আলোচনা করেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিএফআইডির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টটেটিভ জেনি অ্যাডমন্ডসন, ন্যাশনাল হাইওয়েজ ডেভেলপমেন্টর সিনিয়র কান্ট্রি ম্যানেজার প্রজেক্ট (এনএইচডিপি) ডা. হালিদা আখতার, জেনারেল ডায়রেক্টর মাস কমিউনিকেশনস রফিকউজ্জামান।