বড় ভাইকে হত্যায় ছোট ভাইয়ের সাজা কমে যাবজ্জীবন

বাগেরহাটে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছোট ভাইয়ের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2017, 11:09 AM
Updated : 20 Nov 2017, 11:09 AM

এছাড়া স্বামী হত্যার দায়ে পারভীন খাতুন ও প্রতিবেশি আসাদ তালুকদারকে বিচারিক আদলতের দেওয়া যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় দেয়।

  আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন ফজলুল হক ভুইয়া ও সাইদুল ইসলাম।

চিতলমারী উপজেলায় ২০০৮ সালের ২৩ আক্টোবর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে মোয়াজ্জাম শেখের ছেলে এসকেন্দারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এসকেন্দার শেখের স্ত্রী পারভীন খাতুন ও ছোট ভাই মাহমুদ শেখের পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশি আসাদ তালুকদার।

এ ঘটনার পরদিন ২৪ আক্টোবর নিহতের বাবা মোজ্জাম শেখ চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

২০১১ সালের ২৮ জুলাই বাগেরহাটের অতিরিক্তি জেলা দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম মাহমুদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং পারভীন খাতুন ও আসাদ তালুকদারকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

সে রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কার‌্যকরের অনুমোদন চেয়ে আবেদন), রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল ও আপিল শুনানি শেষে হাই কোর্ট সোমবার এ রায় ঘোষণা করে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন, আদালত একজনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং বাকি দুজনের দণ্ড বহাল রেখেছে।

তিনি বলেন, “এ ঘটনার মূল আসামি এসকেন্দারের স্ত্রী পারভীন খাতুন। কিন্তু বিচারিক আদালত মূল আসামি পারভীন আর আসাদকে যাবজ্জীবন দিয়েছে। বিচারে সমতা আনতে এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে হাই কোর্ট মাহমুদ শেখের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীন দিয়েছে।”

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।