পদ হারানোর তিন মাস পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ছাড়েননি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক; তিনি বলছেন, বিকল্প বাড়ি পেতে সময় নিচ্ছেন তিনি।
Published : 19 Nov 2017, 07:47 PM
উপাচার্য ভবন খালি না হওয়ায় ‘সমস্যার‘ মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসার পরপরই ২০০৯ সালের শুরুতে আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরে সিনেটে ভোটের মধ্য দিয়ে ওই পদে স্থায়ী হন তিনি।
এবার ভোট ছাড়াই উপাচার্য প্যানেল চূড়ান্ত করা নিয়ে সমালোচনা এবং কয়েকজন রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটের করা মামলায় ওই প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ার এক মাসের মাথায় গত ৪ সেপ্টেম্বর উপ-উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয় সরকার।
কিন্তু আরেফিন সিদ্দিক এখনও উপাচার্য ভবনেই থাকছেন। ঢাকার সেন্ট্রাল রোডে তার নিজস্ব বাড়ি রয়েছে।
কারণ জানতে চাইলে তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আরেকটা বাসা রেডি হোক। এটা ছাড়ার জন্য বিকল্প বাসা তো লাগবে।”
নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাঝে মধ্যে একটু একটু সমস্যা তো হয়ই। উনাকে প্রভোস্ট কমপ্লেক্সে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উনি সেখানে যাবেন।”
আরেফিন সিদ্দিকের জন্য বিকল্প বাসার প্রস্তুতির জন্য সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন কর্মকর্তা।
এর মধ্যে শহীদ এম এ মুক্তাদির ভবনের (প্রভোস্ট কমপ্লেক্স) সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাট আরেফিন সিদ্দিকের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আফজালুল হক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সপ্তাহখানেক আগে আমরা প্রভোস্ট কমপ্লেক্সের ফ্ল্যাটটি ওনার নামে বরাদ্দ পেয়েছি। সেটা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
“ইতোমধ্যে রঙ করার কাজ শেষ হয়েছে, ডিটেম্পারিংয়ের কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি কাজ শেষ হবে।”
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে চিঠি দিয়ে প্রভোস্ট কমপ্লেক্সের ছয় তলার একটি বাসা বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
এরপর তিনি ৬ষ্ঠ তলার বাসাটির পরিবর্তে সপ্তম তলার একটি বাসার মৌখিক আবেদন করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস।
“সে অনুযায়ী উনাকে সাত তলার বাসাটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেটা এখন প্রকৌশল দপ্তর প্রস্তুত করে দিচ্ছে।”