ঢাকার মান্ডায় জমি দখলের অভিযোগ

প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে বাড়ির একটি অংশ দখলে রেখে ফরহাদ হোসেন নামে একজনের পরিবারকে রাজধানীর মুগদা এলাকা ছাড়া করার পর নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2017, 09:07 PM
Updated : 18 Nov 2017, 09:20 PM

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ অভিযোগ করেন, র‌্যাব-পুলিশের হাতে ‘অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার’ হওয়া স্থানীয় খসরু চৌধুরী এবং তার ভাই রোকনুজ্জামান দীপু চৌধুরী এই হুমকি দিচ্ছেন।

ফরহাদ বলেন, ২০১১ সালে রাজধানীর মান্ডা এলাকায় নয়ন নামে এক ব্যক্তি এবং তার মায়ের কাছ থেকে পৌনে চার কাঠা জমি কিনে দখলে যান তিনি। পরের বছর এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে পাশের পৌনে আট কাঠা জমি কেনেন।

“পরের বছর কেনা জমির আমার অংশটুকু দখলে রইলেও আগের বছর কেনা জমির মধ্যে পৌনে ২ কাঠা জমি ২০১৪ সালে স্থানীয় সন্ত্রাসী খসরু চৌধুরী এবং তার ভাই স্থানীয় বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান দীপু ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে জোর পূর্বক দখলে নিয়ে নেয়।

“এর প্রতিবাদ করলে খসরু তার দলবল দিয়ে আমাকে হুমকি দেয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে মুগদা থানায় গেলে থানা পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে সমঝোতার কথা বলে।”

পরে তাকে ও খসরুকে থানায় ডেকে তৎকালীন ওসি ওমর ফারুক পৌনে ২ কাঠা জমি খসরুকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান ফরহাদ।

“ওসির এই সমর্থন পেয়ে ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল খসরু তার দলবল নিয়ে আমার তৈরি করা ঘরসহ পৌনে ২ কাঠা জমি দখল করে নেয়।”

এ বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোনো ফল না পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

খসরু ও তার সমর্থকদের ভয়ে এখন তিনি ওই এলাকা ছাড়া বলে জানান ফরহাদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমানে মতিঝিল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে করা ওই অভিযোগ সঠিক নয়।

“আদালতের নির্দেশ ছাড়া জমির বিষয় দেখভালের কোনো এখতিয়ার পুলিশের নেই। ফরহাদ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।”

এ বিষয়ে মুগদা থানার ওসি এনাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফরহাদ তার সমস্যার কথা বলতে থানায় এসেছিলেন। পুলিশ জমি সংক্রান্ত কিছু করে না জানিয়ে তাকে আদালতের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়।”

অভিযোগ অস্বীকার করে খসরুর বড় ভাই রোকনুজ্জামান দীপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈধ কাগজ নিয়েই আমরা জায়গার মালিকানা দাবি করছি এবং সেখানে অবস্থান করছি। দখলের কোনো প্রশ্নই আসে না। শুধু শুধু হয়রানি করার জন্য ফরহাদ এসব করছে।”