তবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত রাখতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান শুক্রবার বলেন, “সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় এখনও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।”
শনিবার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে সংকেত নামিয়ে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
তবে লঘুচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ায় বাতাসে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। তাতে হেমন্তের এই শেষ সময়ে শীতের অনুভূতি বাড়বে বলে জানান হাফিজুর।
তিনি বলেন, এ সময় দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদীর অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা বা মাঝারি মাত্রার কুয়াশা থাকতে পারে। ডিসেম্বরেই শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে।
হাফিজুর রহমান বলেন, ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তীব্র (৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্য প্রবাহ এবং অন্যান্য স্থানে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।