বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘Tea Party after 8pm at TSC’। প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী মধ্যরাত পেরিয়ে ২টার দিকেও সেখানে অবস্থান নিয়ে চা পানের পাশাপাশি প্রতিবাদী গান গাইছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী গত রোববার রাত ১১টার দিকে টিএসসিতে এসে আড্ডা দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে তাদের পরিচয় জানতে চান। তারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় হলের আবাসিক শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে তিনি তাদের হলে গিয়ে ‘আড্ডা’ দিতে বলেন।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাত ৮টার মধ্যে টিএসসির চায়ের দোকানগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়।
রাত ৮টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা চায়ের দোকানে জড়ো হন। চা খাওয়া ও আড্ডার পাশাপাশি গিটার নিয়ে গানের আসর বসান। সারারাত এই অবস্থান চলবে বলে জানান তারা।
আইন বিভাগের ছাত্র হুসাইন সাদ্দাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক চর্চার জায়গা। প্রশাসন নিরাপত্তার কাঁচি দিয়ে এই সাংস্কৃতিক চর্চাকে আঘাত করতে পারে না। রাত ৮টার পর টিএসসিতে আড্ডা, উন্মুক্ত আলোচনা বন্ধ করা মানে মৌলবাদী সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দেওয়া।”
“সেক্ষেত্রে আমাদের এই প্রয়াস যতটা না আপাত দৃষ্টিতে ইচ্ছাকৃতভাবে টিএসসিকেন্দ্রিক জলঘোলা করার প্রতিবাদ, তার চেয়েও বেশি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ।”
সংগীত বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সৈয়দা রিজওয়ানা দোলা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন চত্বর শিক্ষার্থীদের। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় বাধা দিতে পারে না।”