বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাটির তদন্ত শেশে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।”
তদন্তে ফখরুলের ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
গত ১৮ জুলাই পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে ফখরুলকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দুদক। ওই দিনই মতিঝিল থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলা করেন।
এরপর দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মামলাটি তদন্ত করেন, তদন্তে সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম সহযোগিতা করেন।
মামলার তদন্তের সময় গত ২ অগাস্ট ফখরুলকে বরখাস্ত করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
নৌ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তারের পরদিন ১৯ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করে দুইদিনের হেফাজতে পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর কাছ থেকে ‘ঘুষ’ নেওয়ার সময় দুদকের দলটি ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ধারা ৫ (ক) অনুযায়ী নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে নকশা জমা হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ অনুমোদন দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ২০১২ সাল থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত বেঙ্গল মেরিনের ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিটি জাহাজের আকার ভেদে পাঁচ থেকে ১৬ লাখ টাকা করে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ।
‘এমভি নওফেল লিহান’ নামের একটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য গত বছরের ১৩ এপ্রিল আবেদন করা হয়। এর জন্য ফখরুল বেঙ্গল মেরিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এএনএম বদরুল আলমের কাছ থেকে ওই পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেন।