উড্ডয়নের পর চাকা খুলে পড়ল বিমানের

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজের চাকা খুলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকও নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2017, 09:31 AM
Updated : 25 Oct 2017, 07:29 PM

তবে বিমানটি ‘নিরাপদে’ ঢাকার শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করায় ৬৬টি জন যাত্রীর সবাই অক্ষত রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

নীলফামারীতে বাংলাদেশ বিমানের জেলা ব্যবস্থাপক আলো আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের বিজি-৪৯৪ ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুরে নেমেছিল।

“ফিরতি ফ্লাইটে ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পরপরই বিমানের পেছনের একটি চাকা খুলে রানওয়ের বাইরে ডোবায় পড়ে যায়।”

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উড্ডয়নের পরপরই সৈয়দপুরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ফ্লাইটের ক্যাপ্টেনকে চাকা খুলে পড়ার বিষয়টি জানানো হয়।

“ফ্লাইটের অপারেটিং ক্যাপ্টেন আতিক ও ফার্স্ট অফিসার ইয়ামিন তখন ঢাকায় ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়।”

সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার আকাশে এসে ক্যাপ্টেন আতিক একবার উড়োজাহাজের উচ্চতা কমিয়ে বিমানবন্দরের ওপরে চক্কর দেন। সে সময় তাকে জানানো হয়, উড়োজাহাজের পেছনের ডানপাশের ৪ নম্বর চাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শাকিল মেরাজ বলেন, “সব প্রস্তুতি শেষে ক্যাপ্টেন আতিক নিরাপদে ও সফলভাবে ফ্লাইট অবতরণ করান। আরোহীদের সবাই নিরাপদ ও অক্ষত আছেন। উড়োজাহাজেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি জানান, ড্যাশ-৮ (২০০) মডেলের ওই উড়োজাহাজে ৬৬ জন যাত্রীর পাশাপাশি দুজন কেবিন ক্রু, একজন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এবং দুইজন পাইলট ছিলেন।

অভ্যন্তরীণ সব রুটে ড্যাশ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে কেবল কলকাতায়ও এই মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা হয় বলে জানান বিমান কর্মকর্তা শাকিল মেরাজ।

তিনি বলেন, “২০১৩/২০১৪ সালের দিকে এটি কানাডা থেকে আনা হয়েছিল। তাই এয়ারক্রাফটি পুরাতন, এটা বলা যাবে না।”

এদিকে চাকা খুলে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের ডেপুটি চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন এনামকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে।

আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জরুরি অবতরণের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ক্যাপ্টেন জামিলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বলে বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।