জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার তুলে ধরা পাঁচ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সমাধান হতে হবে।
গত ৭২ বছর শান্তি, শৃঙ্খলা, মানবাধিকার ও উন্নয়নে জাতিসংঘ ‘উল্লেখযোগ্য ভূমিকা’ রেখেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘ তার পথচলায় যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তা উপলব্ধির কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘ বিশ্বের ছোট-বড় সব দেশের সবচেয়ে আস্থাভাজন অংশীদার হিসেবে ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা জানান তিনি।
“আমরা আশা করি, বর্তমান বিশ্ব যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে সেগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘ অর্থবহ পদক্ষেপ নেবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও ন্যায়বিচারের বিশ্ব গড়ে তুলবে,” বলেন তিনি।
এ বছর যখন বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ দিবস উদযাপিত হচ্ছে, সে সময় মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে।
সব মিলিয়ে ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা, যাদের বেশিরভাগ শিশু, নারী ও বয়স্ক, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
“এই মানুষগুলোর অবশ্যই নিরাপদে, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে নিজেদের ভূমিতে ফেরার সুযোগ তৈরি করতে হবে।”
বার্তায় জাতিসংঘের নীতি ও লক্ষ্যের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল থাকার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় জাতিসংঘের উদ্যোগের অন্যতম বৃহৎ অংশীদার হতে পেরে বাংলাদেশ ‘গর্বিত’।